রাসেল মোল্লা,কলাপাড়া প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর মহিপুর থানা বিএনপির কাউন্সিল গোপনে করার পায়তারা চলছে। গোপন সূত্রে জানা যায়, আগামীকাল ৩১ মার্চ মহিপুর থানা বিএনপির কাউন্সিল হবে, কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যলায়ে। গোপনে নিজেদের মধ্যে দিন তারিখ লুকিয়ে রেখে কাউন্সিলের নাটক মঞ্চস্থ করার পায়তারায় নেতাকর্মীরা হতাশ। মহিপুর থানার আহবায়ক কমিটিতে সমন্বয় ছাড়া একতরফা ভাবে ঘরে বসে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে প্রশ্রয় দেয়া চক্রটিকে এই মূহুর্তে জবাবদিহিতার মধ্যে আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন একাধিক জিয়ার সৈনিক।
তৃনমূল পর্যায়ের একাধিক নেতাকর্মীরা বলেন, আমরা চাই উৎসবমুখর সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটা সুন্দর কাউন্সিল।নিজের অনুগত কর্মীদের নিয়ে অন্য থানার দলীয় অফিসে বসে কাউন্সিলের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমরা মনে করি না।
তাই এই অশুভ প্রক্রিয়া বন্ধ করে সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে মহিপুর থানায় প্রকাশ্যে কাউন্সিল করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।
এব্যাপারে বিএনপির বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড.বিলকিস জাহান শিরিন বলেন,মহিপুর থানা বিএনপির কাউন্সিলের ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা কমিটি বা মহিপুর থানা কমিটি আমাকে এখনো জানায়নি।
মুঠোফোনে কথা হয় পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহবায়ক আঃ রশিদ চুন্নু মিয়ার সাথে তিনি বলেন,কাল কলাপাড়ায় যাবো। সেখানে গিয়ে ঠিক করবো মহিপুর থানা বিএনপির কাউন্সিল কোথায় বসে করবো,তা জানে স্হানীয় নেতারা। মহিপুর থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সকল সদস্য কে দাওয়াত দেওয়ার দায়িত্ব তাদের।
মহিপুর থানা বিএনপির আহবায়ক জলিল হাওলাদারকে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায় নাই।
মহিপুর থানা বিএনপির ১নং যুগ্ম আহবায়ক সাঈদুর রহমান সাঈদ বলেন, আজ সকালে গোপন সূত্রে জানলাম আগামীকাল মহিপুর থানা বিএনপির কাউন্সিল কলাপাড়ায় বসে হবে, অথচ আমাদের মত মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের জানায়নি মহিপুর থানা বিএনপির আহবায়ক। কাউন্সিল কলাপাড়ায় বসে করার কারন আবারও পকেট কমিটি করার ধান্দা। আমাদের সাথে কোন আলোচনা ছাড়া একতরফা কমিটি পায়তারা করছে জেলা কমিটি। আমি এ কাউন্সিল মহিপুর থানায় বসে করার অনুরোধ জানাই। আগামী দিনে সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে হলে মাঠ পর্যায়ে বসে কমিটি করার কোন বিকল্প নাই।
Leave a Reply